ঢাকা , সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
১৩ সেনা কর্মকর্তার মামলায় শুনানির নতুন তারিখ ৩ ও ৭ ডিসেম্বর ১২০ কোটি টাকার প্রকল্পে বরাদ্দের অপচয় মাঠপর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন বিতর্কিত ধারা বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর আটাব সদস্যদের ভূমিকম্পের পর আফটারশক কেন হয়, কতবার হতে পারে? পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত ৮ ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা যেভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন শুল্কের হুমকি দিয়ে ৫ যুদ্ধ থামিয়েছি: ট্রাম্প বিহারের পর এবার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ৫০০ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ইসরায়েলের এবার নটিংহ্যামের কাছে হোঁচট খেলো লিভারপুল সিটিকে হারিয়ে চমক দেখালো নিউক্যাসল ক্যাম্প ন্যুয়ে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখলো বার্সা ২৪ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও গিলকে পাচ্ছেনা ভারত এখনই অবসরের চিন্তা করছেন না মুশফিক ম্যাচসেরা মুশফিক, সিরিজসেরা হলেন তাইজুল আয়ারল্যান্ডকে বিশাল ব্যবধানে হারালো টাইগাররা ​ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশে সংকট দেখা দেবে-জামায়াত আমির

বিজ্ঞানীরা যেভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন

  • আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৫ ০৯:৫২:৪২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৫ ০৯:৫২:৪২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞানীরা যেভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন
ভূমিকম্প হলেই অবধারিতভাবে আলোচনায় উঠে আসে কেন্দ্রের অবস্থান। কিন্তু বিজ্ঞানীরা কীভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন তা জানার আগ্রহ রয়েছে অনেকেরই। ভূমিকম্প কোথায় ঘটেছে তা বোঝার জন্য বিজ্ঞানীরা সিসমোগ্রাম ও সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করেন। এর প্রধান কৌশল হলো পি তরঙ্গ এবং এস তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা। এই দুটি তরঙ্গ মাটিকে ভিন্নভাবে কাঁপায় এবং ভিন্ন গতিতে চলে।
পি তরঙ্গ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এস তরঙ্গ তুলনামূলকভাবে ধীরে আসে। একে অনেকটা বজ্রপাত ও বজ্রগর্জনের তুলনা করা যায়। বজ্রপাতের আলো আগে চোখে আসে, তারপর শব্দ বা বজ্রগর্জন শোনা যায়। যদি বজ্রপাত কাছাকাছি হয়, আলো ও শব্দের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কম থাকে; দূরে হলে সময় বেশি। ঠিক একইভাবে, ভূমিকম্পের কাছে থাকলে পি ও এস তরঙ্গ একের পর এক আসে, দূরে থাকলে দুটি তরঙ্গের মধ্যে ব্যবধান বেশি হয়। সিসমোগ্রামে এই ব্যবধান দেখে বিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করেন ভূমিকম্পের কেন্দ্র কত দূরে। তবে শুধু একটির মাধ্যমে তারা দূরত্বই জানতে পারে, দিকটি নয়। এজন্য মানচিত্রে ওই সিসমোগ্রাফ কেন্দ্র করে একটি বৃত্ত আঁকা হয়, যার ব্যাসার্ধ হচ্ছে নির্ধারিত দূরত্ব। ভূমিকম্প সেই বৃত্তের ওপরেই ঘটে, তবে ঠিক কোথায় তা এখনো অজানা। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেন ‘ট্রায়াঙ্গুলেশন’ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে তিনটি পৃথক সিসমোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্র করে মানচিত্রে বৃত্ত আঁকা হয়, যার ব্যাসার্ধ ওই সিসমোগ্রাফ থেকে ভূমিকম্পের দূরত্ব। তিনটি বৃত্ত যেখানে একসাথে ছেদ করে, সেই বিন্দুই ভূমিকম্পের মহাকেন্দ্র বা এপিসেন্টার। এই পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা নির্ভুলভাবে জানাতে পারেন, পৃথিবীর কোন স্থানে ভূমিকম্প ঘটেছে এবং এপিসেন্টারকে কেন্দ্র করে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল নির্ধারণ করতে পারেন।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স